Wednesday, 20 November 2019

Speech Of World Famous Leader


আন্তর্জাতিক ইতিহাসখ্যাত তিনজন নেতার ভাষণের অনুবাদঃ



মার্টিন লুথার  কিং জুনিয়রঃ
(জানুয়ারী ১৯২৯ - এপ্রিল ১৯৬৮ খ্রীঃ)

‘আজ আমি আপনাদের সঙ্গে এমন এক সমাবেশে মিলিত হতে পেরে খুব খুশি হয়েছি। যা মুক্তিকামী মানুষের বৃহত্তম জমায়েত বলা যেতে পারে। একশ’ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু কালোরা আজও মুক্তি পেল না। বৈষম্য এবং বিচ্ছিন্নকরণের চক্রে পড়ে নিগ্রোদের জনজীবন আজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একশ’ বছর পার হলেও আমেরিকার উন্নয়নে নিগ্রোরা আজও অথই মহাসাগরের মাঝে ক্ষুধার দ্বীপে বসবাস করে যাচ্ছে। তাই আমরা এখানে লজ্জাজনক পরিস্থিতির একটি নাটক মঞ্চায়ন করতে সমবেত হয়েছি।

বিলাসিতার সময় এখন নয়। গণতন্ত্রের দাবি বাস্তবায়নের সময় এখন। অন্ধকার ভেদ করে আলোর দিশারী হওয়ার মোক্ষম সময় এটি।

আমরা কেউ একা চলতে পারব না। আমাদের সবসময় একতাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। অনেকেই আমাদের জিজ্ঞেস করেছে, আমরা কখন বাড়ি ফিরে যাব। আমরা নিশ্চুপ থাকি কী করে? যখন দেখি দীর্ঘপথ অতিক্রমের পর এ শহরের হোটেল এবং মোটেলগুলোতে আমাদের জন্য জায়গা হয় না। তখন আমাদের ব্যক্তিত্ব ধুলোয় মিশে যায় যখন দেখি হোটেল এবং মোটেলের দেয়ালে লেখা ‘শুধু শ্বেতাঙ্গদের জন্য’। আমরা কিভাবে সহ্য করি যেখানে মিসিসিপির নিগ্রোদের ভোটের অধিকার নেই। এভাবে ছোট ছোট লাঞ্ছনা থেকে বড় বড় লাঞ্ছনার দিকে আমাদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে। না না, আমরা খুশি নই। আমরা খুশি হতে পারি না।

সবাই এখানে আজ স্বাধীনতা এবং পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে কথা বলতে এসেছেন। আপনারা হলেন সৃষ্টিশীল দুর্দিনের বীর সেনানী। আপনারা কাজ চালিয়ে যাবেন এই বিশ্বাসের সঙ্গে যে এ অনাকাক্সিক্ষত কষ্টই আপনাদের মুক্তি এনে দেবে।

এতকিছুর পরও আমার একটা স্বপ্ন আছে। এমন একটা স্বপ্ন যার শেকড় আমেরিকার মূল স্বপ্নে আবদ্ধ। এ জাতি একদিন জেগে উঠবে এবং তার সত্যিকার আদর্শ অনুসরণ করবে। আমরা এই সত্যে বিশ্বাসী যে, পৃথিবীর সব মানুষকে সমানভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।

একদিন জর্জিয়ার লালপাহাড়ে কৃতদাসের সন্তানেরা এবং তাদের মালিকেরা একত্রে ভ্রাতৃত্বের টেবিলে বসতে পারবে। আমার ছোট চার সন্তান এমন এক জাতিতে বাস করবে যেখানে তারা তাদের গাত্রবর্ণ দ্বারা মূল্যায়িত না হয়ে তারা তাদের চারিত্রিক উৎকর্ষ দ্বারা মূল্যায়িত হবে। আজকে আপনাদের কাছে আমি এই স্বপ্নগুলো নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি স্বপ্ন নিয়ে এসেছি, একদিন অ্যালাবামায় ছোট ছোট কৃষ্ণাঙ্গ বালক-বালিকারা শ্বেতাঙ্গ বালক-বালিকাদের সঙ্গে হাত মেলাবে। ভাইবোনের মতো। একদিন প্রতিটি উপত্যকা উন্মুক্ত হবে।

মুক্তি আমাদের আসবেই। সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়। সেদিন ঈশ্বরের সব সন্তান গেয়ে উঠবে- এ আমার দেশ- স্বাধীনতার স্বর্গভূমি।

সেদিন ঈশ্বরের প্রতিটি সন্তান, সাদা-কালো প্রত্যেকে একত্রে হাত রেখে প্রাচীন নিগ্রোদের প্রাণের সুরে বলব-অবশেষে আমরা মুক্ত! অবশেষে আমরা মুক্ত! সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। অবশেষে আমরা মুক্ত।’



আব্রাহাম লিংকনঃ
(১২ ফেব্রুয়ারী ১৮০৯ - এপ্রিল ১৫ ১৮৬৫)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম প্রেসিডেন্ট তিনি। ১৮৬১ সালে গৃহযুদ্ধকালে লিংকনের অবদানের কারণে দ্বিখণ্ডিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায় আমেরিকা। ১৮৬৩ সালের ১৮ নভেম্বর গেটিসবার্গে ভাষণ দিয়েছিলেন লিংকন। যা আমেরিকানদের মূল্যবান দলিল। ভাষণে তিনি বলেন-

‘আজ থেকে ৮৭ বছর আগের কথা। আমাদের পূর্বপুরুষরা একটি নতুন জাতির গোড়াপত্তন করেছিলেন। যে জাতি স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত এবং ‘সব মানুষ সমান’ এই নীতিতে উৎসর্গীকৃত। বর্তমানে আমরা বিরাট এক গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছি। যে যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পরীক্ষা করছি, এই নীতিতে দীক্ষিত ও উৎসর্গীকৃত ওই জাতি বা অন্য যে কোনো জাতি দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে কি না। এই জাতি যাতে বেঁচে থাকতে পারে অনন্তকাল ধরে তার জন্য যারা এখানে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাদেরই এক অন্তিম আশ্রয়স্থলের একাংশকে উৎসর্গের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। যেসব জীবিত এবং মৃত ব্যক্তি মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, তারাই এই ভূমিকে পবিত্র করেছেন। সুতরাং এই পবিত্রতা হ্রাস করা আমাদের পক্ষের কাজ নয়। এখান থেকে আজ আমরা দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করব যাতে তাদের আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে না যায়। যেন এই জাতি বিধাতার কৃপায় স্বাধীনতার নবজন্ম লাভ করে। জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা পরিচালিত সরকার ও জনগণের জন্য গঠিত সরকার যেন কখনও পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত না হয়।’





উইনস্টন চার্চিলঃ
(৩০নভেম্বর, ১৮৭৪-২৪ জানুয়ারী  ১৯৬৫)

‘যারা এই সরকারে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তাদের আমি বলেছি আর এই মহান সংসদকেও বলছি, দেয়ার মতো কিছুই নেই আমার, আছে শুধু রক্ত, কষ্ট, অশ্রু আর ঘাম। আমাদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা, আমাদের মাসের পর মাস যুদ্ধ করতে হবে আর কষ্ট সহ্য করতে হবে।

তোমরা যদি জিজ্ঞেস করো, আমাদের নীতিমালা কী? তবে জেনে রাখো, আমাদের একটাই নীতি- জল, স্থল ও আকশপথে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। আমাদের সবটুকু সামর্থ্য আর ঈশ্বর প্রদত্ত শক্তি নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে এক নিষ্ঠুর দানবের বিরুদ্ধে। এটাই আমাদের নীতি।

যদি প্রশ্ন করো, আমাদের লক্ষ্য কী? তবে শুনে রাখো একমাত্র বিজয় ছাড়া আমাদের আর কোনো লক্ষ্য নেই। পথ যতই দীর্ঘ কিংবা কঠিন হোক, বিজয় ছাড়া আমরা অন্য কিছু ভাবছি না। বিজয় ছাড়া আমাদের কোনো পথ খোলা নেই।’



শাহ্ জালাল মাসিম
পলিটিকাল কনসালটেন্ট 
ফাউন্ডার ও সি ই ও 
স্কুল অব পলিটিক্স 

Tuesday, 19 November 2019

Politics & Business

রাজনীতি ও ব্যবসা

বর্তমান প্রজন্মের তরুন ও যুবকদের একটি ট্রেন্ড চালু হয়েছে আর তা হল ব্যবসা করে ক্যারিয়ার গড়া। আসলে এই চিন্তা ধারার একটা ইতিহাস আছে যা তাদের সামনে একটা ইমেজ তৈরি দিয়েছে  তাদের এ ধরনের ডিসিশান মেকিং এর পেছনে গতানুগতিক চাকরী প্রভাবিত করেছে। তাদের পারিবারিক অভিভাবক হয়তবা অনেকেই চাকুরীজীবী। তাদের লাইফ স্টাইলের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আরো স্বাধীন ও সুস্বাভাবিকভাবে কিছু একটা মানে আরো ভালো ইনকাম ও জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে তারা উদোক্তার খাতায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে।

কেউবা ছোট খাট কিছু ক্যাপিটাল নিয়ে বিজনেস শুরু করে দিয়েছে কিন্তু সফলতা বিষয়টি এখন যেন তাদের কাছে সোনার হরিণ ছাড়া আর কিছু নয়।

দেখুন আপনি যখন একটা ক্ষুদ্র ব্যবসাতে ইনভেস্ট করছেন তখন আপনাকে অনেকেই বলেছেন যে ছোটথেকে ব্যবসাকে বড় করতে হয়।

কিন্তু আপনি ছোট থেকে আরো ছোট হয়ে গেছেন বড় ব্যবসায়ী হতে গিয়ে।কারনটা আসলে কি?  একটু অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু  কূলকিনারা কিছুই করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

https://bit.ly/2XtmlcM


আপনি ব্যবসার ফলাফল আপনার বিরুদ্ধে যাবার প্রধান কয়েকটি কারণের মধ্য অন্যতম হলো রাজনৈতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি। রাজনৈতিক সচেতনতা হয়ত আপনার রয়েছে কিন্তু সেটা হতে পারে তত্বীয় বা থিওরিটিক্যাল।
থিওরি আর সমাজ,রাষ্ট্র তার প্রয়োগ ঘটিয়ে বাস্তবায়ন করা অনেক সময় ও শ্রমসাপেক্ষ।
কার্ল মার্ক্স  ও এঙ্গেলস সোভিয়েত ইউনিয়নে সেটা করে দেখিয়ে আজ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী দের একজন হয়ে জ্বলজ্বল করছেন।

তিনি ছিলেন আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক  সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা অর্থাৎ তাঁর কমিউনিজম থিওরির উপর লেখা কয়েকটি বই স্টাডি করলে আপনি আপনি অনায়াসে বুঝতে সক্ষম হবেন যে প্রকৃত  রাজনীতি কি ও কেন? এবং পরিবার, রাষ্ট্র,  সমাজের কর্মকর্তারা ও শাসকদের দ্বারা সাধারণ শ্রমজীবী মানুষজন কিভাবে শোষিত হয়েছিল আর শ্রমিক শ্রেনীর লোকেদের শোষণ করে শাষকরা সম্পদের ও পূঁজির পাহাড় গড়ে তুলেছিল।
কার্ল মার্ক্স সোভিয়েত রাশিয়ার তৎকালীন  অত্যাচারী স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে তাঁর থিওরি আর বুলি আউড়িয়ে বসে থাকেননি বরং সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের কাতারে থেকে কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছিলেন।

যেমন তিনি তাঁর থিওরির স্বপক্ষে জনমত সংগ্রহ থেকে শুরু করে শ্রমিকদের সাথে একই কাতারে কাজ করেছেন আর বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন।প্রোপাগাণ্ডার ও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সবসময় সাধারণ শ্রমজীবী ও দিনমজুরদের সাথে তাদের ন্যায্য পাওনা ও দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন -সংগ্রাম করেছিলেন।
পরিবর্তন করতে হলে কাজ করতে হবে।তাই তিনি বলেছেন যে 
"এতদিন দার্শনিকগণ কেবল বিশ্বকে বিভিন্নভাবে ব্যাখাই করে গেছেন,কিন্তু আসল কাজ হলো তা পরিবর্তন করা"। 
শুধু কথাই বলে গেছেন তা নয় বরং রাজনীতি করে বিশ্বের পরিবর্তন ঘটিয়ে তিনি কিংবদন্তি বনে গিয়েছেন।


লেখাঃ শাহ্ জালাল মাসিম
পলিটিক্যাল কনসালটেন্ট
School Of politics
(Founder & CEO)
masimser33@gmail.com




রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিক  

রাজনীতির দুটি দিক হলো ;

১.তত্ত্ব (থিওরিটিক্যাল)
২.ব্যবহারিক(প্র্যাকটিকাল)

চলুন, একটি রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে রাষ্ট্র পরিচালনার রাজনীতির এ দুটি দিক নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করা যাক।



১.তত্ত্বীয় রাজনীতিঃ

আমরা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৌরনীতি ও সমাজ বিজ্ঞান নামের দুটো সাবজেক্টের সঙ্গে সকলেই সুপরিচিত। এই দুটি সাবজেক্টটিই আসলে রাষ্ট্র ও রাজনীতি সম্পর্কে বেসিক জ্ঞানদান করার জন্য পড়ানো হয়ে থাকে।ইতিহাস সাবজেক্টও এটির অন্তর্ভূক্ত হতে পারে। 
সাবজেক্টগুলোতে দেখবেন যে, সরকার, রাষ্ট্র, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র প্রভৃতি সম্পর্কে বলা রয়েছে।
আপনি যখন এগুলো স্টাডি করেছেন তখন কিছুটা হলেও বাস্তবতার সাথে এগুলোর সম্পর্ক খুঁজে থাকবেন। 

মনে করুন, আপনি জানলেন যে আইনের চোখে সবাই সমান কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো কিছু দেখলেন। তাহলে বোঝা গেল যে থিওরীর সাথে সবসময় প্র্যাক্টিকালের মিল নাও থাকতে পারে।
উল্লেখ্য এখানে আইনের চোখে সবাই সমান একটি থিওরি আর আইন প্রভাবশালী কারো পক্ষে কথা বলছে-এটি হল প্র্যাকটিকাল।
আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গনতন্ত্র বিরধী কর্মকাণ্ডের সাথে কেউবা জড়িত হচ্ছে। 



আপনি পলিটিকাল যে টার্মগুলো আওড়াচ্ছেন,কিন্তু  রাজনৈতিক মাঠে ময়দানে হয়তবা তার উল্টো কিছু ঘটছে।
যাইহোক,  যেহেতু তত্ত্ব জানা,বোঝা বা পড়ার স্থান, রিডিং রুম, ক্লাসরুম হয়ে থাকে, কিন্তু রাজনীতি করতে হলে আপনাকে সভা, সেমিনার,মিছিল, মিটিং ইত্যাদি স্থানে কাজ করতে হবে। তাই প্রসঙ্গক্রমেই দুই স্থানের বাস্তবতা আলাদা হওয়াটা স্বাভাবিক।
কেননা আমি রাজনীতির এই দুটি ফিল্ডেই দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত ছিলাম ও কাজ করেছি।
তাই  বলতেই পারি একনায়কতন্ত্র,গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র,গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র  প্রভৃতি হলো এক একটি তত্ত্ব

প্র্যাক্টিক্যাল রাজনীতিঃ

 যখন আপনি কোন একটা তত্ত্ব কে সাপোর্ট করেন সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য যখনই সভা সেমিনার, মিটিং মিছিলে, প্রচার প্রোপাগান্ডায় অংশগ্রহন নিশ্চিত করবেন তখন সেটা প্র্যাক্টিক্যাল রাজনীতি। 



তেমনিভাবে আইন, সাংবিধানিক অধিকার,বিচার বিভাগ,শাসন বিভাগ,সমাজনীতি, অর্থনীতি,বাজেট প্রভৃতি রাষ্ট্র পরিচালনার রাজনীতিতে এক একটা শক্তিশালীব তত্ত্ব আর বাস্তবতায় এগুলো নিয়ে কাজ করাটাই হলো প্র্যাক্টিকাল রাজনীতি। 

আরও যে দুটি দিক রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে তা হলো সক্রিয় রাজনীতি ও নিষ্ক্রিয় রাজনীতি। 
ধরুন একজন রাজনৈতিক যে কোন একটা তত্ত্বকে বাস্তবায়ন করার জন্য মিটিং মিছিল, সেমিনার, আন্দোলন করছেন অর্থাৎ তিনি



সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন আবার আবার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য কোন একটা পেশা বেছে নিয়েছেন, অর্থাৎ তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন।



লেখাঃ শাহ্ জালাল মাসিম
পলিটিক্যাল কনসালটেন্ট
SCG-ShaJalal consultancy group       




Monday, 18 November 2019

প্রেস বিজ্ঞপ্তি কি ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি লেখার সঠিক নিয়ম


প্রেস বিজ্ঞপ্তি কি ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি  লেখার নিয়মঃ


সুদুর অতীত থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে  নিজের দলের প্রোপাগান্ডার জন্য প্রেস রিলিজ বা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজন হয়ে আসছে। কোন কোন ক্ষেত্রে আন্দোলন, সংগ্রামের এর সহায়ক। রাজনীতিতে মাঠে-ময়দানে  প্রেস বিজ্ঞপ্তি সবসময়ই অনেক জনপ্রিয় এবং কার্যকারী। দৈনিক  নামী দামি পত্রিকাগুলো ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে প্রচার কৌশল অবলম্বন করে তারা প্রেস রিলিজ থেকে নিউজ করে। তবে আজকাল অনেক অনলাইন পত্রিকা অনেক বেশী নিউজের প্রয়োজনীয়তার জন্য ইমেইল প্রেস রিলিজ পেলে ছেপে দেয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি সব দৈনিক, সাপ্তাহিক  পত্রিকা, ম্যাগাজিন, দৈনিক টিভি চ্যানেল এমনকি স্থানীয় আঞ্চলিক পত্রিকায়ও পাঠানো যেতে পারে । তবে অনলাইন পত্রিকা ছাড়াও ব্লগগুলোতেও প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিউজ করে থাকে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা হলোঃ

 ◾পত্রিকা ঠিকানা 
◾ফোন নাম্বার 
◾ফ্যাক্স 
◾ই-মেইল

সাধারনত কোন রাজনৈতিক সংগঠনের প্রচার সম্পাদক, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় পাঠিয়ে থাকে।
ইমেইলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি লেখার জন্য সভাপতির সাক্ষর স্ক্যান করে রিলিজের নিচে দিতে হবে
তারিখ, বার ও খ্রীস্টাব্দ উল্লেখ করতে হবে।
এম এস ওয়ার্ড ফাইলে আগে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নাম, নিবন্ধন সংবলিত লেটার প্যাড ওপেন করে সংগঠনের বক্তব্য, উদ্দেশ্য, কর্মসূচি, প্রোপাগাণ্ডা লিখতে হবে।
নিজস্ব ইমেইল(সংগঠনের) আইডি ব্যবহার করতে হবে।
নিজস্ব ওয়েব এড্রেস থেকে পাঠাতে হবে।


◾প্রেস বিজ্ঞপ্তি অবশ্যই রাজনৈতিক পাতা'র বিভাগীয় সম্পাদকের নিকট পাঠাতে হবে।
◾ লেখা বিশেষ করে তিন ছোট ছোট অংশে বা ১০০ – ১২০ শব্দে হতে হবে ।

◾ইন্টারনেট থেকে লেখার পূর্বে কয়েকটি নমূনা কপি ডাউনলোড করে প্রিন্ট দিয়ে  সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।
◾ প্রেস রিলিজের উপরে প্রেস রিলিজ লেখার পাশাপাশি সুন্দর একটা হেডিং দিবেন।

◾সংগঠনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে  গুরুত্বপূর্ণ প্যারাতে ইটালিক, বোল্ড, আন্ডারলাইন অপশন ব্যাবহার করতে পারেন যাতে বিভাগীয় সম্পাদক  চোখে হাইলাইট হতে পারে।
◾সবশেষে মোদ্দা কথা হলো লেখার ভাষা সহজে বোধগম্য ও  প্রাঞ্জল ভাষায় লিখিত হতে হবে।

To get presentation please visit link bellow:    

https://bit.ly/35deQJr



শাহ্ জালাল মাসিম 
পলিটিকাল কনসালটেন্ট 
(শাহ্ জালাল কনসাল্টেন্সি) 
ফাউন্ডার ও সি ই 
স্কুল অব পলিটিক্স

স্মারকলিপি কেন ও কিভাবে লিখতে হয়?

সংঙা(Definition):

স্মারকলিপি- যে ডকুমেন্টে কার্যক্ষেত্র, উদ্দেশ্য,অভিযোগ ও সদস্যদের দায় প্রভৃতি বিষয় লিপিবদ্ধ থাকে তাকে স্মারকলিপি বলে।


স্মারকলিপি  সাধারণত চলিত ভাষায় লেখা উচিত

স্মারকলিপি  লেখা সুন্দর ও পরিষ্কার হওয়া দরকার।ভাষা সংক্ষিপ্ত ও সহজ হওয়া দরকার।
যাকে যেরূপ পত্র লেখা উচিত, এর ব্যতিক্রম যেন না হয়।সর্ব প্রকার বাহুল্য বর্জন করা দরকার।
বিষয়বস্তু গোছালো হওয়া দরকার।ঠিকানা সঠিক ভাবে লেখা দরকার।
স্মারকলিপির গুরুত্বপূর্ণ প্যারগুলোকে ইটালিক, বোল্ড, আন্ডারলাইন করে দেন যাতে পাঠকের চোখে হাইলাইট  করতে পারে।


বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে ইস্যুতে সামঞ্জপূর্ণ যাতে হয় সে দিকে খেয়াল করা উচিৎ!

স্মারকলিপি লেখার উদ্দেশ্যঃ

একটি স্মারকলিপি বিভিন্ন  উদ্দেশ্যে লেখা হতে পারে।সাধারণত নানা ধরণের  ঘোষণা, প্রাপককে সংস্থার নীতি বা পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করা,বিভিন্ন বিষয়ে  নির্দেশনা দেয়া বা কোন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ এবং প্রতিবেদন (যেমন, কোনও পরীক্ষামূলক বা তদন্তের ফলাফলের জন্য )।

স্মারকলিপি সাধারণত একটি সংগঠনের তথ্য আদানপ্রদানে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
একটি স্মারকলিপির মাধ্যমে একটি সংগঠনের নেতাকর্মী, সংগঠক,বিভিন্ন পদপ্রাপ্ত সকলকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো  সম্ভব হয়ে থাকে!

লেখাঃ মোঃ শাহ্ জালাল মাসিম
Founder, Chief Executive
School of politics.     

 To view my presentation about Memorandum, please visit this link bellow:
     
https://bit.ly/2Os5ouW

Sunday, 17 November 2019

Politics

সংবিধান একটি রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ম কানুন, যা লিখিত বা অলিখিত হতে পারে। রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলিল। যা পরিবর্তন, পরিশোধণের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে।
আর এই সংবিধান অনুযায়ী নেতা রাষ্ট্র পরিচালনা করাকে রাজনীতি বলা হয়।
  

 রাজনীতি কি ও কেন

রাজনীতি একটি পেশা। রাষ্ট্রকে পরিচালনা করার জন্য সুনেতৃত্ব দেয়া হলো  রাজনীতি!রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।  একটি রাষ্ট্রে যে সকল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারমধ্যে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান যা রাজনৈতিক দল সরকার ব্যবস্থা গঠনের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র কে পরিচালনা করে থাকে।

রাজনীতির সংঙাঃ

রাষ্ট্র কে পরিচালনা করার জন্য যে নীতিমালা তাই রাজনীতি। রাষ্ট্র পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান যাকে পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক দল ক্ষমতা  অর্জন করে সাংবিধানিক ভাবে সরকার গঠন করে রাষ্ট্র  পরিচালনা করে।যার প্রধান থাকেন একজন নেতৃত্বদানকারী।



নেতৃত্বদানকারীঃ

যিনি জনগণের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি নেতা। সাধারণ জনগোষ্ঠীর আশা আকাঙ্খা ও দাবী আদায়ে নেতা প্রধান ভূমিকা পালন করেন।নেতা তাঁর বক্তব্য জাতির সামনে তুলে ধরেন।তিনি জনগণকে পথ দেখিয়ে থাকেন।

রাজনৈতিক দলঃ

একজন নেতা জনগণের সাথে দলবদ্ধ সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করার জন্য একটি সংগঠন গড়ে তোলেন।তারপর সে সংগঠনের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকেন।

যেমনঃ
বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি রাজনৈতিক দলঃবাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(BNP)
গণসংহতি আন্দোলন ও সিপিবি ও ওয়াকার্স পার্টি।



লেখাঃ শাহজালাল মাসিম 
নির্বাহী পরিচালক 
স্কুল অব পলি

রাজনীতির সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন দেখতে প্লিজ আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পরবর্তী আপডেট পেতে নোটিফিকেশন 🔔আইকন ক্লিক করে কানেক্টেড থাকুন।
আমার ইউটিউব চ্যানেল লিংকঃ

          https://bit.ly/2XtmlcM

সংবিধান (Constitution)

সংবিধান কি ও কেন?  


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ লিখিত দলিল। এই সংবিধানটি একটি সফল লিখিত সংবিধান। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং  বিজয় দিবস  হতে এটি প্রকাশিত  ও কার্যকরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। 




সংবিধান একটি রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ম কানুন, যা লিখিত বা অলিখিত হতে পারে। রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলিল। যা পরিবর্তন, পরিশোধণের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে।
 বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত সংবিধান যা


দেশ স্বাধীন হবার বাংলাদেশের জনগন হাতে পেয়েছে। এদিক থেকে বলতেতি গেলে বাংলাদেশ সৌভাগ্যবানদের একজন।
এই সংবিধান প্রণয়ণের ইতিহাসে দেখা যায় অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা, কর্মী, সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্টবিজ্ঞানী ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সংবিধান প্রণয়নের কাজ সুসম্পাদিত হয়েছিল। 

     
                 

বাংলাদেশ সংবিধানের মূলনীতিসমূহঃ

◾ জাতীয়তাবাদ
◾ সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি
◾ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার
◾ ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা

বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫১ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম প্রধান কয়েকটি অনুচ্ছেদ হলোঃ



  বাংলাদেশের সংবিধান মোট এগারোটি বিভাগে বিভক্ত রয়েছে, এগুলো হলোঃ 
 
 (প্রথম ভাগ)
প্রজাতন্ত্র 
(দ্বিতীয় ভাগ)
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
(তৃতীয় ভাগ)
মৌলিক অধিকার 
(চতুর্থ ভাগ)
নির্বাহী বিভাগ
(পঞ্চম ভাগ)
আইনসভা
(ষষ্ঠ বিচারবিভাগ
(সপ্তম ভাগ)
নির্বাচন 
(অষ্টম ভাগ)
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
(নবম ভাগ)
বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
(দশম ভাগ)
সংবিধান-সংশোধন
(একাদশ ভাগ)
বিবিধ

To see presentation about Bangladesh constitution, please visit,subscribe &    connected my YouTube channel.  My channel link below.