Tuesday, 19 November 2019



রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিক  

রাজনীতির দুটি দিক হলো ;

১.তত্ত্ব (থিওরিটিক্যাল)
২.ব্যবহারিক(প্র্যাকটিকাল)

চলুন, একটি রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে রাষ্ট্র পরিচালনার রাজনীতির এ দুটি দিক নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করা যাক।



১.তত্ত্বীয় রাজনীতিঃ

আমরা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৌরনীতি ও সমাজ বিজ্ঞান নামের দুটো সাবজেক্টের সঙ্গে সকলেই সুপরিচিত। এই দুটি সাবজেক্টটিই আসলে রাষ্ট্র ও রাজনীতি সম্পর্কে বেসিক জ্ঞানদান করার জন্য পড়ানো হয়ে থাকে।ইতিহাস সাবজেক্টও এটির অন্তর্ভূক্ত হতে পারে। 
সাবজেক্টগুলোতে দেখবেন যে, সরকার, রাষ্ট্র, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র প্রভৃতি সম্পর্কে বলা রয়েছে।
আপনি যখন এগুলো স্টাডি করেছেন তখন কিছুটা হলেও বাস্তবতার সাথে এগুলোর সম্পর্ক খুঁজে থাকবেন। 

মনে করুন, আপনি জানলেন যে আইনের চোখে সবাই সমান কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো কিছু দেখলেন। তাহলে বোঝা গেল যে থিওরীর সাথে সবসময় প্র্যাক্টিকালের মিল নাও থাকতে পারে।
উল্লেখ্য এখানে আইনের চোখে সবাই সমান একটি থিওরি আর আইন প্রভাবশালী কারো পক্ষে কথা বলছে-এটি হল প্র্যাকটিকাল।
আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গনতন্ত্র বিরধী কর্মকাণ্ডের সাথে কেউবা জড়িত হচ্ছে। 



আপনি পলিটিকাল যে টার্মগুলো আওড়াচ্ছেন,কিন্তু  রাজনৈতিক মাঠে ময়দানে হয়তবা তার উল্টো কিছু ঘটছে।
যাইহোক,  যেহেতু তত্ত্ব জানা,বোঝা বা পড়ার স্থান, রিডিং রুম, ক্লাসরুম হয়ে থাকে, কিন্তু রাজনীতি করতে হলে আপনাকে সভা, সেমিনার,মিছিল, মিটিং ইত্যাদি স্থানে কাজ করতে হবে। তাই প্রসঙ্গক্রমেই দুই স্থানের বাস্তবতা আলাদা হওয়াটা স্বাভাবিক।
কেননা আমি রাজনীতির এই দুটি ফিল্ডেই দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত ছিলাম ও কাজ করেছি।
তাই  বলতেই পারি একনায়কতন্ত্র,গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র,গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র  প্রভৃতি হলো এক একটি তত্ত্ব

প্র্যাক্টিক্যাল রাজনীতিঃ

 যখন আপনি কোন একটা তত্ত্ব কে সাপোর্ট করেন সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য যখনই সভা সেমিনার, মিটিং মিছিলে, প্রচার প্রোপাগান্ডায় অংশগ্রহন নিশ্চিত করবেন তখন সেটা প্র্যাক্টিক্যাল রাজনীতি। 



তেমনিভাবে আইন, সাংবিধানিক অধিকার,বিচার বিভাগ,শাসন বিভাগ,সমাজনীতি, অর্থনীতি,বাজেট প্রভৃতি রাষ্ট্র পরিচালনার রাজনীতিতে এক একটা শক্তিশালীব তত্ত্ব আর বাস্তবতায় এগুলো নিয়ে কাজ করাটাই হলো প্র্যাক্টিকাল রাজনীতি। 

আরও যে দুটি দিক রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে তা হলো সক্রিয় রাজনীতি ও নিষ্ক্রিয় রাজনীতি। 
ধরুন একজন রাজনৈতিক যে কোন একটা তত্ত্বকে বাস্তবায়ন করার জন্য মিটিং মিছিল, সেমিনার, আন্দোলন করছেন অর্থাৎ তিনি



সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন আবার আবার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য কোন একটা পেশা বেছে নিয়েছেন, অর্থাৎ তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন।



লেখাঃ শাহ্ জালাল মাসিম
পলিটিক্যাল কনসালটেন্ট
SCG-ShaJalal consultancy group       




No comments:

Post a Comment